ইসলামের ইতিহাসে মদীনার গুরুত্ব অপরিসীম। মক্কার কাফেরদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর অনুসারীরা মক্কা থেকে মদীনা চলে আসেন। এই ঘটনা “হিজরত” নামে পরিচিত, যা ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
মদীনায় পৌঁছানোর পর মুহাম্মদ (সা.) মুসলিমদের জন্য একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শহরের দুটি প্রধান গোত্র, অউস এবং খাযরাজের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন এবং একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করেন, যা “মদীনার সনদ” নামে পরিচিত। এই চুক্তির মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের মূল কাঠামো গঠিত হয় এবং মুসলমানরা ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সমতার অধিকারী হন।
মদীনায় ইসলামের আগমন শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিবর্তনের সূচনা ছিল না, বরং এটি একটি সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক বিপ্লবের সূচনা করেছিল। মদীনা শহরটি মুসলিমদের জন্য একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছিল, যেখানে তারা ধর্মীয় শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা, এবং শাসন ব্যবস্থা চালু করে।
এই সময়টিতে ইসলামের শিক্ষা দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে, এবং মদীনা থেকে পুরো আরব উপদ্বীপে ইসলামের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে, মদীনা মুসলিমদের একত্রিত করার পাশাপাশি ইসলামিক সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি স্থাপন করে।
আজও মদীনা শহরটি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, এবং ইসলামের ইতিহাসে এর অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।